প্রিয়াঙ্কা মোদক: সুন্দর সম্পর্ক আমরা সবাই চাই, তা সে বিয়ের আগে হোক বা বিয়ের পর। কিন্তু একসঙ্গে থাকতে গিয়ে মাঝেমধ্যে ঠোকাঠুকি হয়েই থাকে। ঝগড়া হয়, আবার মিলমিশ হয়। সম্পর্কের মধ্যে শীতলতা না আসুক, ঝগড়া না হোক – এটাই সবাই চায়। কিন্তু এটা জানেন কি হ্যাপি রিলেশনশিপ সারাজীবন বাঁচিয়ে রাখতে মন খুলে ঝগড়া করাটাও জরুরি !
ঝগড়া মানেই যে বেলাশেষ তা সবসময় ঠিক নয়। ঝগড়া বেলাশুরুও করে।
হ্যাঁ, এটাও হয়। কিন্তু কীভাবে ? জেনে নিন এই প্রতিবেদনে –
আরও পড়ুন- যোগ্যতা থাকলেই চাকরির সুযোগ
অনিচ্ছাকৃত ভাবে করা কাজের প্রতিফলন: যে কোন রিলেশনশিপ এ কোন না কোন সময় অনেক কিছুই আমরা ইচ্ছা না থাকলেও মানিয়ে নিয়ে থাকি। কিন্তু সেটার বহিঃপ্রকাশ করতে পারিনা। আর যেহেতু এটা ইচ্ছার বিরুদ্ধে, তাই এটা মনের কোন একটা জায়গায় বসে থাকে।
আর এগুলি আমরা জানতে পারি কোন ঝামেলা বা ঝগড়ার সময়। কারন ঝগড়ার সময় মানুষ তার মনের মধ্যে জমে থাকা কথা গুলো বলে ফেলে। যত বেশিদিন এই কথাগুলি মনের মধ্যে থাকবে তত বেশিই আমাদের মনকে প্রভাবিত করবে।
তাই এগুলো মন থেকে মুছে ফেলুন আর এতে আপনার সঙ্গীও বুঝতে পারবে তার ভুল গুলো। আর এই ঝগড়া ও ভুল বোঝাবুঝিগুলো মিটে যাওয়ার পরে দেখবেন জীবনটা অনেকটাই শান্তিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন- কোর্টের ক্লার্ক পরীক্ষার ফলপ্রকাশ, দেখুন সম্পূর্ণ তালিকা
আলোচনা বনাম ঝগড়া: আমরা অনেকেই ভাবি যা কিছু সমস্যা একটা আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেই। মনে রাখবেন আমাদের মনের মধ্যে লুকিয়ে রাখা কোনো কষ্ট বা খারাপ লাগা সেগুলি ঠান্ডা আলোচনার মধ্যে সব সময় উঠে আসেনা।
তাই যতই আমরা ভাবি আলোচনা করে সমাধান হয়ে যাবে সেটা কিন্তু হয়ে ওঠে না। তবে ঝগড়ার সময় কোনো কষ্ট বা খারাপ লাগা কথার মধ্যে প্রকাশ পাবেই। আর তখন নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে মিটিয়ে নেবেন।
আরও পড়ুন- ব্রেকিং নিউজঃ এস এস সি -র মাধ্যমে সরকারি দপ্তরে কয়েক হাজার কর্মী নিয়োগ
সঙ্গীর রাগের কারন একমাত্র ঝগড়া তেই বোঝা যায়: কোন কারনে আপনার সঙ্গী রেগে আছে। আর তার কারন আপনি কোনোভাবেই বুঝতে পারছেন না, বা সে বলছেও না আপনাকে। খেয়াল করে দেখবেন এটারও বহিঃপ্রকাশ ঘটবে কিন্তু ঝগড়ার সময়ই।
আরও পড়ুন-একসাথে ৮ টি সংস্থায় নিয়োগ, এখনই আবেদন করুন
ঝগড়া মিটে যাওয়ার পরবর্তী সময়ের শান্তি: ঝড়ের পর যেমন পরিবেশ শান্ত থাকে তেমনি ঝগড়া হওয়ার পরও মনের মধ্যে একটা প্রশান্তি আসে। তবে খেয়াল রাখতে হবে ঝগড়ার যেন পজিটিভ এন্ড হয়।
এ তো গেল ঝগড়ার পজিটিভ দিক। তবে এমনটা নয় যে শুধু ঝগড়া করলেই সমস্যার সমাধান হবে। তা কিন্তু একেবারেই নয়। নিজেদেরকেও কিছু জিনিস মেনে চলতে হবে, তবেই না ঝগড়ার মধ্যেও পজিটিভ কিছু পাবেন –
আরও পড়ুন- ৯ টি সরকারি চাকরির খবর এক নজরে
১। ঝগড়ার সময় অপরজনের ওপর চিৎকার না করে আগে শুনুন সে কি বলতে চাইছে। বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করুন রাগের আসল কারন টা কি।
২। একজন রেগে গেলে অপর জন কে মাথা ঠাণ্ডা রাখতে হবে। দুজনেই একসঙ্গে রেগে গেলে ফল মারাত্মক হবে। তাই ঝগড়ার সময় নিজেকে কীভাবে কন্ট্রোল করবেন সেই পদ্ধতি আপনাকেই বের করতে হবে।
৩। দিনের দিন ঝগড়া মিটিয়ে নিন। ঝগড়া শেষ হলে আবার পুরনো সম্পর্কে ফিরে যান। মানে ব্যাপারটা এমনই হওয়া উচিত যেন সকাল হলে মনেই না থাকে আগের দিন রাতে কি নিয়ে ঝগড়া হয়েছিল।
তাহলে এবার থেকে ঝগড়া করুন আর সম্পর্কে থাকুন।