ওয়েব ডেস্কঃ বাঙালির কাছে দুর্গাপূজা এখন শুধু প্রাণের উৎসব নয়, গর্বের বিষয়ও বটে। তাই বিশ্বজনীন সমাদৃত এই হেরিটেজ পুজোর উপর আনন্দের পাশাপাশি সুস্থ সামাজিকতা তুলে ধরারও গুরু দায়িত্ব আছে। ১৯৮৫ সালে থিম পুজো (Theme Pujo) কনসেপ্টের সাথে প্রথম পরিচয় ঘটে কলকাতার। আর এখন বারোয়ারির আড্ডা বা থিমের মন্ডপসজ্জা দুই বাঙালির কাছে অতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
![](https://nabachetan.com/wp-content/uploads/2022/10/parnasree-pujo-idol-1024x683.webp)
![](https://nabachetan.com/wp-content/uploads/2022/10/parnasree-pujo-idol-1024x683.webp)
শুধু তাই নয়, বছর ধরে মানুষেরা অপেক্ষায় থাকে বিভিন্ন ক্লাবগুলির নতুন নতুন চমক দেখার জন্য। এমনই ভাবনা নিয়ে বাংলার চিরন্তন গ্রামীণ শিল্পকলাকে অভিনবভাবে তুলে ধরেছে পর্ণশ্রী সাউথ ব্লক ক্লাব। ব্রিটিশ শাসনের ফলাফল স্বরূপ শহুরে সভ্যতার প্রসার ঘটার পর বাংলার নিজস্ব শিল্প সংস্কৃতির যথেষ্ট গুরুত্ব হারায়। বর্তমানে অবশ্য সেই হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে তুলে ধরার জন্য অসংখ্য উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু জনপ্রিয়তার নিরিখে সীমিত কিছু মানুষের মধ্যেই বাংলার এই শিল্প – সংস্কৃতি সীমাবদ্ধ। এই ভাবনাকে সর্বজনীন করার জন্যই পর্ণশ্রী সাউথ ব্লক ক্লাবের এবারের এমন থিম, জানিয়েছেন ক্লাবের উদ্যোক্তা।
গ্রাম বাংলার মাটির ঘরের আদলে মায়ের মণ্ডপ ও কালীঘাট পটের আদলে তৈরী দেবী প্রতিমা মণ্ডপের অন্যতম আকর্ষণ। পাশাপাশি বেহালা তথা কলকাতার প্রথম দুর্গাপূজা শুরু হয় যাঁর হাত ধরে, সেই জমিদার সাবর্ণ রায়চৌধুরীর সেরেস্তার মাধ্যমে ফুটে ওঠে তৎকালীন বাংলার ছবি। সমগ্র থিম পরিকল্পনায় ছিলেন শিল্পী শ্রী আশুতোষ ভট্টাচার্জ্য এবং সহ শিল্পী শ্রী তারকনাথ দাস। প্রতিমা তৈরী থেকে শুরু করে মণ্ডপের কাজ, সবকিছুই শিল্পীরা নিজের হাতে করেছেন। তবে মণ্ডপের অন্যতম মূল আকর্ষণআকর্ষণ ছিল কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের ২৩টি জেলার নিজস্ব লোকশিল্পের স্টল। শিল্পী শ্রী আশুতোষ ভট্টাচার্যের কথায়, ‘ দুর্গাপূজা হল এক মিলন উৎসব, আর কুটির শিল্পের (handicraft) এই মেলার আয়োজন হল পূজার এক অন্যতম উপকরণ ‘।