অঋনদম সরকারঃ কথায় আছে কপালের লিখন কি আর বদলানো যায় ? ভাগ্য বদলানো যায় কিনা এ নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে। তবে বহুমানুষ ভাগ্যে বিশ্বাস করেন। এমনকি জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী বাড়ির অন্দরমহলও সাজিয়ে রাখেন।
বাড়ির অন্দরমহল সাজানোর ক্ষেত্রে ফেং শুই অনেক বেশি প্রচলিত। প্রতি দিনের ফেং শুই পূর্বাভাস আপনাকের সাহায্য করবে জীবনে নেগেটিভ এনার্জির প্রভাব কমিয়ে পজিটিভ এনার্জির প্রভাব বাড়িয়ে তুলতে। লাফিং বুদ্ধর ব্যাপারে হয়তো আপনারা অনেকেই জানেন । কিন্তু পাশাপাশি আরেকটি শক্তির প্রতীককে হয়তো আপনারা অনেকের বাড়িতেই দেখে থাকবেন সেটি হল ড্রাগন।
ফেং শুই-তে ড্রাগনকে “য়াঙ্গ শক্তি” অর্থাৎ “পুরুষ শক্তি” হিসেবে গণ্য করা হয়। ধন, শক্তি ও স্বাস্থ্য প্রদানে সহায়ক হয় এই ফেং শুই ড্রাগন। উল্লেখ্য, লাফিং বুদ্ধর মতো ড্রাগনও বাজারে বিভিন্ন আকার, রং ও ধাতুর পাওয়া যায়। তবে এই সমস্ত ড্রাগনেরই পৃথক পৃথক গুরুত্ব বা শক্তি রয়েছে।
এবার জেনে নিন কোন ড্রাগন এর কাজ কি ?
সবুজ ড্রাগনকে স্বাস্থ্যের দিক দিয়ে লাভপ্রদ মনে করা হয়। অন্যদিকে সোনালি ড্রাগন সমৃদ্ধির বাহক। আবার যে ড্রাগনের পাঁজায় ক্রিস্টল বা মুক্তো থাকে, সেই ড্রাগন সমৃদ্ধি, শক্তি ও সুযোগ প্রদান করে।
বাড়িতে কোথায় ড্রাগন রাখা উচিত তা জেনে রাখা ভালো। কম শক্তিসম্পন্ন স্থান, যেমন বাথরুম, গ্যারাজ বা স্টোররুমে ড্রাগন রাখা উচিত নয়। নিজের চোখের সমান্তরালের চেয়ে উঁচু কোনও স্থানে ড্রাগন রাখতে নেই। অন্যথায় এর প্রত্যাশিত ফল পাওয়া যাবে না।
লাভের জন্য বাড়ির কোনও খোলা জায়গায় বা তার নিকটবর্তী কোনও স্থানে ড্রাগন রাখা উচিত। খেয়াল রাখতে হবে ড্রাগন এর মুখ যেন ভিতরের দিকে থাকে। তবে দেওয়ালের একদম কাছে না রাখাই ভালো। ক্রিস্টাল বা মুক্তো থাকে যে ড্রাগন এর, তাকে কখনো দরজা বা জানালার কাছে, বাইরের দিকে মুখ করে রাখতে নেই। ফেং শুই মতে, এতে করে আর্থিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
বাড়িতে একাধিক ড্রাগন রাখা যেতে পারে। তবে ফেংশুই মতে পাঁচটার বেশি ড্রাগন না-রাখাই ভালো।