সন্তু সামন্তঃ ৮ থেকে ৮০ – সবারই দিনের অনেকটা সময় কাটে মোবাইলে। মোবাইলে বুঁদ হয়ে থাকার জন্য স্বামী-স্ত্রী, বন্ধু-বান্ধব, অভিভাবক-সন্তান, এমনকি পাড়া-প্রতিবেশীদের মধ্যেও পারস্পারিক সম্পর্কের বাঁধন অনেকটাই কমে এসেছে; হালফিলের বিভিন্ন সমীক্ষা তাই বলছে।
গান, ভিডিও, সিনেমা, সিরিয়াল, ওয়েব সিরিজ, অনলাইন ক্লাস, গেম, খবর – কি নেই মোবাইলে। একা হয়ে থাকার প্রবণতা বাড়ছে সারা বিশ্বজুড়েই। এই অবস্থা যে সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুব একটা ভালো নয় সেই সতর্কবার্তা বিশেষজ্ঞরা অনেকবারই দিয়েছেন। বলা যেতে পারে এরই পরিপ্রেক্ষিতে শুরু হল এক অভিনব উদ্যোগ! ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল না থেকে শুরু করা হল ডিজিটাল উপোস।
হ্যাঁ, সত্যি এটা অভিনব উদ্যোগ। আর এই অভিনব উদ্যোগের উদ্যোক্তা মধ্যপ্রদেশের রাইসেন জেলার জৈন সম্প্রদায়। নেট দুনিয়া থেকে নিজেদের দূরে রাখতে পালন করা হল ডিজিটাল উপোস (e-fasting)।
নিজেদের আত্মউপলব্ধির জন্য জৈন সম্প্রদায়ের মানুষ প্রতি বছর পরজুসন উৎসব পালন করেন। নিয়ম অনুযায়ী, এই উৎসব চলাকালীন নিজেদের যে কোনও প্রিয় জিনিস ত্যাগ করতে হয়। মধ্যপ্রদেশের রাইসেন জেলার জৈন সম্প্রদায় এর পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এই বছর পালন করা হবে ডিজিটাল উৎসব। অর্থাৎ, নিজেদের ইন্টারনেট থেকে দূরে রাখবে। সূত্রের খবর ভোপালের বেগমগঞ্জের একটি মন্দিরে প্রায় ১০০০ জন সদস্য ২৪ ঘণ্টার জন্য নিজেদের মোবাইল ফোন জমা রেখেছিলেন।
বর্তমানে নেটদুনিয়ায় অতিরিক্ত আসক্তির ফলে সামাজিক যোগাযোগের সূত্র অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে। ফলে বাড়ছে মানসিক স্বাস্থ্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইন্টারনেট এই দুনিয়ায় প্রতিমুহূর্তে প্রয়োজন। কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যবহার করলে অদূর ভবিষ্যতে সামাজিক, মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের দায় আমাদের ওপরই বর্তাবে। তাই এখনই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। ডিজিটাল উপোস এর সিদ্ধান্ত পজিটিভ চিন্তাভাবনারই ফসল।
দেশ বিদেশের বিভিন্ন খবরের পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য সবার আগে জানতে লাইক ও ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ ও গুগল নিউজ