স্নিগ্ধা হালদারঃ বেশ কিছুদিন আগেই হাজার পেরিয়েছে গ্যাস সিলিন্ডার। তাই রান্নাঘরে সিলিন্ডারের যোগান দিতে হাঁসফাঁস অবস্থা মধ্যবিত্তের। বাঁচতে গেলে খেতে তো হবেই। আর খেতে গেলে রান্না করতে হবে; রান্না করলে গ্যাস খরচ হবে।
তবে নীচের ১০ টি উপায় অবলম্বন করলে গ্যাসের খরচ আপনি অনেকটাই বাঁচাতে পারবেন।
১) জোগাড় সম্পূর্ণ করে রান্না শুরু করুন – কাঁচা আনাজ কাটাকুটি করে, মশলাপাতি হাতের কাছে রেডি করে গ্যাস জ্বালান। গ্যাস জ্বেলে আনাজ কাটা বা মশলা রেডি করলে গ্যাস খরচ বেশি হবে।
২) ভিজে কুকার বা কড়াই ব্যবহার না করাই ভালো – ভিজে কড়াই বা কুকার ওভেনে বসালে আগুনের তাপে তা শুকনো হওয়ার পর রান্না শুরু করা যায়। তাই কড়া বা কুকার রান্নার আগে ধুয়ে পরিস্কার কাপড় দিয়ে মুছে নেওয়া দরকার। তারপর ব্যবহার করলে গ্যাস খরচ বাঁচবে।
৩) ফ্রিজ থেকে বের করেই রান্না শুরু নয় – ফ্রিজে রাখা কোনও খাবার গরম করার দরকার হলে বা ফ্রিজে রাখা খাবার রান্না করার জন্য বেশ কিছুক্ষণ আগে ফ্রিজ থেকে বের করে রাখুন। বাড়ির তাপমাত্রায় এলে তারপর ওভেনে বসান। ফ্রিজের থান্ডা খাবার সরাসরি ওভেনে বসালে তা গরম হতে অনেকক্ষণ সময় লাগবে। ফলে গ্যাস ও বেশি পুড়বে।
৪) সবসময় হাই ফ্লেম এ রান্না না করে ঢাকা দিয়ে রান্না করুন – শুরুতে হাই ফ্লেম দিলেও পাত্র গরম হয়ে গেলে হাই ফ্লেম এর দরকার পরে না। তখন ফ্লেম কমিয়ে ঢাকা দিয়ে হালকা আঁচে রান্না করতে হবে। এতে করে আপনার গ্যাসের সাশ্রয় হবে। পাশাপাশি রান্নাও সুসেদ্ধ ও টেস্টি হবে।
৫) ছোটো বার্নার এর সঠিক ব্যবহার – যেসমস্ত রান্না কম সময়ে হয়ে যায়, বা হালকা আঁচেই রান্না সম্ভব সেই সমস্ত রান্নার সময় ছোটো বার্নার ব্যবহার করুন। যেমন চা , দুধ গরম বা জল গরম ইত্যাদি।
৬) সঠিক কড়াই বা কুকারের ব্যবহার – খেয়াল রাখতে হবে রান্নার পাত্র অর্থাৎ কুকার বা কড়াই এর নীচের আয়তন যেন বার্নার এর থেকে বড় হয়। নাহলে পাত্রের ধার দিয়ে গ্যাসের আঁচ বাইরে বেরিয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে শুধু শুধু গ্যাস খরচ হবে।
৭) প্রেসার কুকারের ব্যবহার – যে সমস্ত রান্না প্রেসার কুকারে কড়া যায় সেগুলি প্রেসার কুকারেই করা ভালো। যেমন – ডাল সেদ্ধ। কড়াই এর থেকে প্রেসার কুকারে অনেক তাড়াতাড়ি হয়। ফলে গ্যাস ও বাঁচবে।
৮) বার বার নয়, একবারেই রান্না সারুন – চা , কফির মত জিনিস সারাদিনে অনেকবারই খাওয়া হয়। তাই বারবার গ্যাস না জ্বেলে একবারে বেশি করে তৈরি করে ফ্লাক্সে রেখে দিন। ফলে গ্যাস খরচ অনেকটাই কমবে।
৯) প্রয়োজনে দুবেলার রান্না একবারে করে নিন – বাড়িতে ৪ জন সদস্য হলে দুবেলা ৪ জন + ৪ জন অর্থাৎ মোট ৮ জনের রান্না করতে হয়। সেক্ষেত্রে ৮ জনের রান্না একেবারে করে নেওয়া সম্ভব হলে গ্যাস কম খরচ হবে। দ্বিতীয়বার খাওয়ার সময় শুধু একটু গরম করে নিলেই হবে।
১০) সঠিক পাত্রের ব্যবহার – নন স্টিক কড়াই / কাস্ট আয়রনের কড়াই তাড়াতাড়ি গরম হয় অন্যান্য বাসনের তুলনায়। আবার রান্নার বাসনের তলায় যদি তেল কালি লেগে থাকে তাহলে গরম হতে দেরি হয়। তাই রান্নার বাসন নিয়মিত ভালোভাবে পরিস্কার করা দরকার। এতে করে গ্যাসের খরচ বাঁচবে।
দেশ বিদেশের বিভিন্ন খবরের পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য সবার আগে জানতে লাইক ও ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ ও গুগল নিউজ