সন্তু সামন্তঃ আজ রসগোল্লা দিবস (Rasogolla Day)। রসগোল্লার প্রকৃত আবিস্কারক হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ জি আই ট্যাগ পাওয়ার আজ পঞ্চম বর্ষ উদযাপন। রাজ্যের বিভিন্ন আঞ্চলিক রসগোল্লা ব্যবসায়ী সমিতি এই দিনটিকে স্মরণ করে ফ্রি তে রসগোল্লা খাইয়ে মিষ্টিমুখ করান এলাকার মিষ্টিপ্রেমী খাদ্যরসিকদের।
রসগোল্লার প্রকৃত দাবিদার নিয়ে বাংলা এবং ওড়িশার বিরোধ দীর্ঘদিনের। বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে যখন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে রসগোল্লার জি আই ট্যাগ এর বিরোধিতা করে ওড়িশা। বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর বাংলার রসগোল্লা জি আই ট্যাগ হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
তবে ঠিক তার ২ বছরের মাথায় ২০১৯ সালে ওড়িশার রসগোল্লাও জি আই ট্যাগ হিসেবে স্বীকৃতি পায়। সাধারণত একই জিনিসের দুটি জি আই ট্যাগ হয়না। কিন্তু রসগোল্লার ক্ষেত্রে তো তা হয়নি। শুরু হল নতুন বিতর্ক। কারণ হিসেবে ভারতের পেটেন্ট অফিস থেকে জানানো হয়, দুটি রাজ্যের মিষ্টির উপাদান এবং তৈরির পদ্ধতি সম্পূর্ণ আলাদা। তাই দুটি রাজ্যকেই জি আই তকমা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, হারাধন ময়রা বাংলার আদি রসগোল্লার সৃষ্টিকর্তা। তবে ১৯৬৮ সালে নবীন চন্দ্র দাশ কলকাতার স্পঞ্জ রসগোল্লার আবিস্কারক হিসেবে অনেকে দাবি করেন। অপরদিকে, কথিত আছে, উল্টোরথের দিন জগন্নাথ দেব মন্দিরে প্রবেস এর আগে দেবী লক্ষ্মীকে রসগোল্লা খাওয়ান। ওড়িশার অনেক প্রাচীন সাহিত্যেও রসগোল্লার উল্লেখ রয়েছে।
বিতর্ক থাক বা অবসান হোক- রসগোল্লা রসগোল্লাই। অন্যান্য মিষ্টির তুলনায় গরম গরম রসগোল্লা আজও বেশ জনপ্রিয়। এমনকি বিদেশি খেলোয়াড় বা পর্যটকরা কলকাতায় এলে একবার অন্তত রসগোল্লার আস্বাদ নিতে ভুল করেন না। আর বাংলার ভূমিপুত্র যারা বিদেশে থাকেন তারা ফ্লাইট ধরার আগে ব্যাকপ্যাকে রাখেন বাক্সবন্দী রসগোল্লা।
এবার আপনার পালা। আজ রসগোল্লা দিবস (Rasogolla Day)। সারাদিন একটু চোখকান খোলা রাখলেই দেখতে পাবেন আগের বছরগুলোর মত এবারও বিভিন্ন রসগোল্লা ব্যবসায়ী সমিতি এবং দোকানদাররা ফ্রি তে রসগোল্লা বিলোচ্ছেন। ইচ্ছে হলে আপনিও এই স্বাদ নিতে পারেন।
দেশ বিদেশের বিভিন্ন খবরের পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য সবার আগে জানতে লাইক ও ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ ও গুগল নিউজ।