অধ্যায় সাহাঃ রাত তখন ১১ টা। এই সময় আর পাঁচটা দিনের মত রাতের খাওয়া শেষে সবাই ঘুমোনোর তোড়জোড় শুরু করেছেন। কিন্তু বিপদের আঁচ ধরা পড়ল রাতদুপুরেই। জেগে উঠল গোটা দ্বীপ। (Natural Disaster) কারণ ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি থেকে বেরিয়ে আসছে তপ্ত লাভার স্রোত। ঘটনা হাওয়াই দ্বীপের জীবন্ত আগ্নেয়গিরি মাওনা-লোয়া।
প্রায় ৪০ বছর পর ঘটে যাওয়া এই আকস্মিক ঘটনার পর আগ্নেয়গিরির একপাশ থেকে বেরিয়ে আসতে থাকে তপ্ত লাভার স্রোত। সেই স্রোত ছিল পর্বতের উপরিভাগে। নিম্নগামী হওয়ার আশঙ্কা কতটা তা বোঝা যাচ্ছেনা এই মুহূর্তে। আমেরিকার ভূতত্ববিদদের মতানুযায়ী উত্তর-পূর্বের স্থানীয় বাসিন্দাদের ওপর এই ঘটনা বিপদজনক না হলেও,পর্যটক ও ট্রেকিংয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। প্রায় ২ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য খোলা হয়েছে দুটি আশ্রয়কেন্দ্র । আশঙ্কা, আগ্নেয়গিরির গ্যাস, ছাই হাওয়ার প্রভাবে বহুদূর অবধি ছড়িয়ে পড়তে পারে।
“হাওয়াই ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস” এর তথ্য বলছে, উড়ন্ত ছাই হাফ ইঞ্চির কাছাকাছির মত আস্তরণ তৈরি করতে পারে। ব্যহত হতে পারে আকাশ পরিবহন। আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা গুলিকে অ্যালার্ট করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বাতিল করা হয়েছে বেশ কিছু উড়ান।(Natural Disaster)
উড়ন্ত ছাই থেকে শিশু এবং বয়স্ক দের ক্ষতির সম্ভাবনা অনেকটা বেশি। চোখ,ফুসফুস সহ একাধিক অঙ্গের প্রদাহের কারণ হতে পারে এই বিষাক্ত ছাই। শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়িতে থাকার নির্দেশ জারি করেছে হনুলুলু প্রশাসন। প্রয়োজনে মাস্কের ব্যবহার এর নির্দেশিকাও লাগু হয়েছে। শুধু মানুষ ন্য, ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে অন্যান্য প্রাণীদেরও।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৪ সালে শেষ বারের মত মাওনা-লোয়া হয়ে উঠেছিল সক্রিয় , তারপর থেকে প্রায় ৩৮ বছর ছিল নিশ্চুপ। ২০২১ এ পুনরায় ঘটে অগ্ন্যুৎপাত। ২০২২ এর জুলাই থেকে আগস্টের মধ্যে প্রায় ২০ বার মৃদু ভূমিকম্পের ঘটনাও ঘটে। সেপ্টেম্বরে মধ্যে যে গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় ১০০ তে। তাই অদূর ভবিষ্যতে আরও বড়ো কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন ভূবিজ্ঞানীরা।