প্রিয়াঙ্কা সিংহঃ- আর মাত্র ৩০ বছর ! তারমধ্যে প্রতি দশজনের একজন তাদের শ্রবণ ক্ষমতা হারাতে পারেন বা তাদের শ্রবণ জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, ১০০ কোটির ও বেশি যুবক যুবতীর অসংযত শোনার অভ্যাসের ফলে তাদের শ্রবণ যন্ত্রের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এই রিপোর্ট অনুযায়ী, পৃথিবীর জনসংখ্যার ৫ শতাংশ মানুষকে কৃত্রিম শ্রবণ যন্ত্র ব্যবহার করতে হতে পারে। কোনোমানুষ যদি ৩৫ ডেসিবেলের উপরের আওয়াজ শুনতে না পান তাকে তার শ্রবণ ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতানুসারে শ্রবণ জনিত সমস্যা নিম্ন লিখিত কারনে জীবনের যে কোনো বয়সেই হতে পারে। যথা-
1. জন্মগত কারণ :-
কোনো কোনো সময় জিনগত কারণে, অথবা গর্ভাবস্থায় মা নিজে এবং বাচ্চাকে সুস্থ রাখতে যেসব ওষুধ খান, তার মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে অনেক সময় বাচ্চার বধিরতার সমস্যা হয়।
এছাড়াও জন্মগ্রহণ করার সময় অক্সিজেনের অভাব হলে অথবা জন্মের পর পরই মারাত্মক জন্ডিসে আক্রান্ত হলে, এবং কম ওজন নিয়ে জন্মালেও শিশু বধিরতার শিকার হতে পারে।
2. দুর্ঘটনা জনিত কারণ :-
দুর্ঘটনায় কানে অথবা মাথায় আঘাত লাগলে শ্রবণ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
4. ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :-
ওষুধ অতিরিক্ত সেবনের ফলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসাবে শ্রবণ যন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
5. অপরিস্কারতার কারণ :-
দীর্ঘদিন ধরে কানে ময়লা জমার কারণে শ্রবণ ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে।
6. ইলেকট্রনিক যন্ত্র অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণ :-
আজকাল আমাদের দৈনিক জীবনযাপন ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি ছাড়া অচল। তার মধ্যে হেডফোন অন্যতম। যার অতিরিক্ত ব্যবহার মারাত্মক।
7. শব্দ দূষণ জনিত কারণ :-
দীর্ঘদিন ধরে কলকারখানায় কর্মরত কর্মীদের অতিরিক্ত শব্দে, ক্লাব ডি.জে তে কর্মরত কর্মীদের অতিরিক্ত শব্দের কারণে শ্রবণ জনিত সমস্যা হতে পারে।
8. বার্ধক্যজনিত কারণ :-
বয়স বাড়ার সাথে সাথে নানা রকম রোগের লক্ষণ দেখা যায়, শ্রবণ জনিত সমস্যা ও তার মধ্যে একটি।
তথ্যসূত্র:- WHO