সুদীপ ঘোষঃ দশভূজা মায়ের আরাধনায় অন্যতম প্রয়োজন উপকরণ হল পদ্মফুল (Lotus)। সপ্তমী থেকে দশমী প্রতিদিন পুজাচারে কমবেশি পদ্মফুল লাগলেও অষ্টমীর সন্ধিপুজাতে ১০৮টি পদ্মফুল নিশ্চিত থাকা চায়। আর সেই পদ্মফুলের চাহিদা বাড়ছে বাংলার ফুল মার্কেট গুলিতে।
হাওড়ায় অবস্থিত এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম ফুলের বাজার হল জগন্নাথঘাট। সেখানে এখনই প্রতি ফুল ১০টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। পুজোর কয়েকটা দিন ঐ ফুলের দাম ১৫-২০টাকা অথবা তার বেশিও হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জগন্নাথঘাটের ফুল ব্যবসায়ীদের মতে এবার পদ্মফুলের চাহিদা আছে খুব ভালো কিন্তু জোগান তুলনামূলক ভাবে কম।
কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের ফুল বাজার গুলিতে ফুল আসে হুগলি, মেদিনীপুর, বর্ধমান, বাঁকুড়া, হাওড়া, মালদা, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া ও ২৪ পরগনার চাষীদের পুকুর, ডোবা, ঝিল বা বিল গুলি থেকে। দুর্গাপুজোর সময় ফুলের ব্যাপক চাহিদা কলকাতা জুড়ে থাকায় বাংলাদেশ থেকেও ফুল আমদানি করা হয় অনেক সময়।
গত দুইবছর করোনা কাঁটাতে পরিবহন ব্যবস্থা স্তব্ধ থাকায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছিল বাংলার ফুল চাষিরা। চাষের ফুল শুকিয়ে গাছেই ঝরে পড়ে গিয়েছিল। এবার সেই কালো দিন ভুলে লাভের আশায় বুক বাঁধছে হুগলির পদ্মফুল চাষিরা। তবে নির্দিষ্ট সময়ে বর্ষার ঘাটতি থাকায় ফুল উৎপাদন অনেকটা কম হয়েছে তাদের। বর্তমানে ফুলের দাম কম হলেও তারা তাকিয়ে আছে পুজোর কয়েকটা দিনের দিনে। ফলন কম হওয়ায় পুজোর দিনগুলিতে ফুলের চাহিদা ব্যাপক থাকবে বলে তাদের অনুমান। বাজারে ফুলের দাম বাড়লে তাদের বাড়িতেও খুশির হাওয়া বাড়বে। পুজোর কয়েকদিন বাড়তি লাভের আশা করে উৎসবের আলোতে নিজেদের ঘর ভরানোর স্বপ্ন দেখছেন বাংলার হিন্দু- মুসলমান ঘরের হাজার হাজার পদ্মফুল চাষিরা।