মৌপিয়া মাইতিঃ গ্রিনহাউসগ্যাসের নির্গমন বেড়েই চলেছে ফলে বিশ্ব উষ্ণায়নও বাড়ছে। জলবায়ু স্বাভাবিক করতে তৎপর বিজ্ঞানীরা।২৭ তম জলবায়ু সম্মেলন মিশরে শুরু হয়েছে। সেখানে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের হার কমানোর কথা তুলে ধরা হয়েছে।
বন উজাড় এবং ভূমি ব্যবহার সহ সমস্ত উৎস থেকে বিশ্বব্যাপী CO2 নির্গমন ৪০.৬ বিলিয়ন টন ছাড়িয়ে যাবে। 2015 সালে প্যারিস চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার সময় নির্গমন যা ছিল এখন তার চেয়ে পাঁচ শতাংশ বেশি। বর্তমানে কোভিড থেকে বাঁচার জন্য তেল খরচ হয়েছে অনেক এবং ইউক্রেনের যুদ্ধকালীন অবস্থার জন্য কয়লা ও গ্যাস বেশি খরচ হচ্ছে
প্যারিস লক্ষ্য পূরণের জন্য, ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস নির্গমন অবশ্যই ৪৫ শতাংশ হ্রাস করতে হবে এবং বায়ুমণ্ডল থেকে CO2 অপসারণের দ্বারা কোনো অবশিষ্ট নির্গমনের ক্ষতিপূরণ সহ এই শতাব্দীর মাঝামাঝি নেট জিরো করা হবে।নেট-জিরো রাখতে হলে, আগামী আট বছরে নির্গমন বার্ষিক সাত শতাংশ করে কমাতে হবে। ২০২০ সালে লকডাউনে বিশ্বের বেশিরভাগ অর্থনীতির কারণে নির্গমন মাত্র ছয় শতাংশ কমানো গেছে।
২০০০ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে CO2-এর নির্গমন বার্ষিক বৃদ্ধি তিন শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল কিন্তু প্রায় এক দশক পরে প্রতি বছরে ০.৫ শতাংশ কমেছে।
২০২২ সালে চিনের CO2 নির্গমন প্রায় এক শতাংশ কমেছে। ইউরোপে বিকল্প শক্তির জন্য নির্গমন প্রায় ০.৮ শতাংশ কমেছে। মার্কিনে নির্গমন ১.৫ শতাংশ এবং ভারতে ছয় শতাংশ বাড়বে।
আন্তর্জাতিক স্তরের গ্লোবাল ওয়ার্মিং ১.৫C- এর নিচে থাকার জন্য আমাদের নির্গমনে বড় বার্ষিক হ্রাস করতে হবে, তবে দুঃখের বিষয় যার কোন লক্ষণ নেই।