মৌপিয়া মাইতিঃ বিগত কয়েকদিন ধরেই ‘সিত্রাং’ (Sitrang) -এর ল্যান্ডফল কোথায় হবে তা নিয়ে জল্পনা কল্পনা চলছিল আবহাওয়াবিদদের মধ্যে। তবে ভারতে না বাংলাদেশে আছড়ে পড়ে এই ঘূর্ণিঝড়টি।
সোমবার রাত থেকে, শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং তার ল্যান্ডফল পার করে যাওয়ার ফলে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ১৮ জনেরও বেশি লোক মারা গেছে।জানা যাচ্ছে যে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবগুলির সাথে মোকাবিলা করার জন্য বাংলাদেশের কর্মকর্তারা উপযুক্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া এবং উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষকে সময়মতো সরিয়ে নেওয়ার মতো প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছিলেন।
২৫ শে অক্টোবর ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর অনুসন্ধান ও উদ্ধারকার্যে নিয়োজিত, ভারতীয় কোস্ট গার্ড (আইসিজি) ২০ জন বাংলাদেশী জেলেকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে। কোস্ট গার্ড ডর্নিয়ার বিমানের নজরে পড়ার কারণেই তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
উদ্ধারকৃত এই জেলেরা তাদের মাছ ধরার নৌকা ডুবে যাওয়ার পর ভেসে থাকা নৌকার ধ্বংসাবশেষ আঁকড়ে ধরে ছিলেন। দুই দেশের কোস্ট গার্ডদের মধ্যেকার সমঝোতার স্মারক অনুযায়ী তাদের বাংলাদেশের কোস্ট গার্ডদের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করে ভারতীয় কোস্ট গার্ডরা। ওই উদ্ধার করা জেলেদের বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ার কথা জানিয়ে টুইটও করেন আইসিজি।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার আসামের পরিস্থিতি ভয়াবহ। ৮৩টি গ্রামের প্রায় ১১০০ মানুষ ঘূর্ণিঝড় Sitrang -এর কারণে সৃষ্ট বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আসামে প্রবল বৃষ্টিপাত ও ঝড়ের ফলে বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।আসাম রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মতে, ঝড়ের কারণে ১১৪৬ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দেশ বিদেশের বিভিন্ন খবরের পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য সবার আগে জানতে লাইক ও ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ ও গুগল নিউজ