স্নিগ্ধা হালদারঃ শিল্প উদ্যোক্তাদের নিয়ে আলোচনা করলে অনিল আগারওয়ালের নাম খুব স্বাভাবিক ভাবেই উঠে আসে। তিনিই আজ পথ দেখাচ্ছেন আত্মনির্ভর ভারতের। বিহারের পাটনার ইংরেজি না জানা ছেলেটির এই পথ মসৃণ ছিল না। তার কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠা আজ তাকে ভারতের তথা বিশ্বের প্রথম সারির শিল্পপতিদের মধ্যে স্থান দিয়েছে।
আজ থেকে প্রায় ৪৭ বছর আগে একটা বেডিং, সামান্য টিফিন নিয়ে মুম্বাই পৌঁছেছিলেন। পুঁজি বলতে ছিল ইংরেজির দুটি শব্দ ইয়েস আর নো, আর ছিল একরাশ স্বপ্ন। শুরুটা করেছিলেন ধাতব ছাঁটের ব্যবসা দিয়ে। দশ বছর তিনি ঐ ব্যবসা করেছিলেন। বিভিন্ন কেবল সংস্থাগুলির ফেলে দেওয়া ধাতব ছাঁট সংগ্রহ করতেন তারপর সেগুলি মুম্বাইয়ে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করতেন।
এরপর ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে মুম্বাইয়ে একটি খুপড়ি ঘরে কেবল সংস্থার অফিস খোলেন। এরপর তাকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি , একে একে জেলি ফিল্ড কেবলস, ১৯৮৬ সালে স্টারলাইট ইন্ডাস্ট্রি। এরপর বিভিন্ন সংস্থায় অর্থ বিনিয়োগ করতে থাকেন । ২০০৩ সালে তিনি প্রথম ভারতীয় হিসাবে লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে তার কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করেন । পরের দশ বছরে আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও অন্যান্য বেশ কিছু অঞ্চলে খনি কিনেছিলেন। এরপর তিনি পেট্রোলিয়াম সেক্টরেও প্রবেশ করেন। তবে তিনি কখনই এই মুম্বাইকে তথা ভারতকে ভোলেননি।
সেমি কন্ডাক্টর ক্ষেত্রে ভারতকে স্বনির্ভর করার যে কথা দিয়েছিলেন তারই বস্তবায়ন করতে চলেছে তাঁর বেদান্ত গ্রুপ । ১.৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে তাইওয়ানের ফক্সকনের সহযোগিতায় একটি সেমিকন্ডাক্টর চিপ উৎপাদন কারখানা স্থাপন করতে চলেছেন অনিল আগারওয়াল। এখনও পর্যন্ত ওড়িশায় বিনিয়োগ করেছেন ৮০হাজার কোটি টাকা।
দেশ বিদেশের বিভিন্ন খবরের পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য সবার আগে জানতে লাইক ও ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ ও গুগল নিউজ