সুদীপ ঘোষঃ সামনেই রাখি পূর্ণিমা (Rakhi Purnima), তাই এখন চরম ব্যস্ততা পূর্ব বর্ধমানের (Burdwan, Kalna) কালনার রাখি শিল্পীদের। আর কয়েকদিন বাদেই তাদের তৈরি রাখি ভাইদের হাতে পরিয়ে দেবেন বোনেরা।
দীর্ঘ করোনা মহামারীর ধাক্কা সামলে এবার রাখি শিল্পে উজ্জ্বল আলোর আশা দেখছে বাংলার রাখি শিল্পীরা। তাদের তৈরি রাধাকৃষ্ণ রাখি ও ময়ূর রাখীর মতো একাধিক নকশার রাখি বাংলার ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও শক্ত করতে চলেছে। এবার বেসরকারি সংস্থার পাশাপাশি সরকারি সংস্থার পক্ষ থেকেও প্রচুর রাখি তৈরির অর্ডার পেয়েছেন কালনার রাখি শিল্পীরা। এই আশাতেই বাড়তি রুজি রোজগারের আশা দেখছেন তারা।
শুধু বর্ধমানের কালনা নয়, বাংলার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে হাতের তৈরি এই রাখি শিল্প। যারা সারাবছর তাকিয়ে থাকে রাখি পূর্ণিমার দিকে। কিন্তু বাজারে চিনা রাখীর আমদানি ও করোনা মহামারীর কারণে ধুঁকছিল বাংলার এই প্রসিদ্ধ কুটির শিল্প । সরকারি ঋণ ও বরাতের উদ্যোগে আবার হালে পানি পেয়েছেন শিল্পীরা। রাজ্যের বিভিন্ন স্থানের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা এখন রাখি তৈরীর কাজে ব্যস্ত। বাংলার এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারি উদ্যোগে আরও সরকারি বরাত, ঋণ ও বাইরে রপ্তানির ব্যবস্থার দাবি করছেন এই শিল্পের সাথে যুক্ত বাংলার হাজার হাজার ক্ষুদ্র কুটির শিল্পীরা। আরও সরকারি সুযোগ পেলে বাংলার শিল্পীদের তৈরি রাখি আগামী দিনও ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্বের বন্ধন হিসাবে বেচেঁ থাকবে।
দেশ বিদেশের বিভিন্ন খবরের পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য সবার আগে জানতে লাইক ও ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ ও গুগল নিউজ