সঞ্জয় বৈরাগী: পথেঘাটে চলাফেরার সময় বাস-লরি বা অটো রিক্সার পেছনে বিভিন্ন লেখা কম বেশি আমাদের সবারই নজরে পরেছে। তবে এই লেখা আর ৫ টা লেখার থেকে আলাদা। এই লেখা পড়লে একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আপনাকেও ভাবাবে। সম্প্রতি সোশ্যাল-মিডিয়ায় এমনই লেখা ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, দিল্লির এক অটো রিক্সার পেছনে লেখা ‘হনকিং হার্টস ‘ এবং তার নিচে একটি প্রশ্নসহ তার সম্ভাব্য চারটি উত্তর।
অটোর পিছনে লেখা প্রশ্নটিতে জানতে চাওয়া হয়েছে “ট্রাফিকের মধ্যে হর্ন বাজালে কি হয়?”এবং তার উত্তর স্বরূপ অপশনগুলির মধ্যে লেখা রয়েছে লাইট তাড়াতাড়ি সবুজ হয়, রাস্তা চওড়া হয়ে যায়,গাড়ি উড়তে লাগে এবং কোনটাই নয়। অটোচালকের এই অভিনব প্রতিবাদের কায়দায় বেজায় খুশি নেটিজেনরা। পাশাপাশি অনেকেই তার বুদ্ধির প্রশংসাও করেছেন।
বর্তমানে আমাদের দেশে আইনি জরিমানার বিধান থাকলেও দেশের সর্বত্রই ট্রাফিক আইন ভাঙ্গার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিনা প্রয়োজনে হামেশাই যেখানে সেখানে হর্ন বাজানো হচ্ছে। তেমনি বিভিন্ন সংরক্ষিত জায়গা, যেমন – ধর্মীয় স্থান, স্কুল-কলেজ ও হাসপাতালের সামনেও গাড়িচালকগণ দেশের ট্রাফিক আইনকে অমান্য করে সজোরে হর্ন বাজিয়ে তাদের গাড়ি নিয়ে ছুটছে।
এই শব্দের তাণ্ডবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কিন্তু বর্তমান প্রজন্মই। কান- নাক- গলা বিশেষজ্ঞ দের মতে, টিন এজারদের মধ্যে কানে কম শোনার প্রবণতা বাড়ছে।অত্যাধিক শব্দের কারণে তাদের শ্রবণ ক্ষমতার স্থায়ীভাবে ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া শিশু ও বয়স্করাও এই অত্যাধিক শব্দের জন্য নানা রোগের সম্মুখীন হচ্ছে। আর মন সংযোগের ব্যাঘাত ও দেখা দিচ্ছে। তাই প্রয়োজন ছাড়া হর্ন বাজাবেন না। মনে রাখতে হবে ট্র্যাফিক নিয়ম মেনে হর্ন বাজানোটাই সামাজিকতার পরিচয়।
Good question with interesting choices shown back at Auto, Viral News