সুদীপ ঘোষঃ দেশজুড়ে করোনা ও মাঙ্কি পক্স নিয়ে উদ্বেগের মাঝেই কলকাতায় ডেঙ্গুর হানা। হঠাৎ করে ডেঙ্গুর কবলে প্রাণ হারালেন অষ্টম শ্রেণীর বিশাখ মুখার্জি। দক্ষিণ কলকাতার কালীঘাটের ৮৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিশাখ কদিন ধরেই জ্বরে ভুগ ছিলেন ।
গত ৩ তারিখ তার শরীরে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল। গতকাল তার মৃত্যু হয়। মাত্র ১২ বছরের এই ছাত্রের মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে কলকাতা জুড়ে।
মেয়র পরিষদ আতিন ঘোষ এই মৃত্যুর ঘটনা সত্যি বলে স্বীকার করেছেন এবং তিনি জানিয়েছেন ঐ অঞ্চলে প্রায় ২০-২৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত আছে, যাদের চিকিৎসা চলছে। তিনি আরও বলেন, ঐ ঘিঞ্জি এলাকায় পুরোকর্মীরা সঠিক ভাবে কাজ করতে পাড়ছে না। ডেঙ্গু প্রতিরোধে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর ও কলকাতা পুরসভা ইতি মধ্যেই যৌথ কর্মসূচি গ্রহণ করা করেছে। প্রতি অঞ্চলে ব্লিচিং ও কীটনাশক স্প্রে করা হচ্ছে, ধোঁয়া দেওয়া হচ্ছে, ড্রেন পরিষ্কার করা হচ্ছে এবং পুরসভার স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলিতে ডেঙ্গু পরীক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এদিকে,গতকালের ডেঙ্গুতে মৃত্যুর খবরে নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকার। কলকাতা ও উত্তরবঙ্গে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে মেডিকেল কলেজ, স্বাস্থ্য দপ্তর ও পুরসভা গুলির আধিকারিকদের নিয়ে আজ নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদি। ডেঙ্গুর প্রকোপ কমানো, সঠিক চিকিৎসা ও পরীক্ষা বিষয়ক একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়ে গুরুত্বপূর্ন বৈঠক হতে চলেছে বলে বিশেষজ্ঞদের মত।
বর্ষার মরশুমে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধিতে আগেই প্রচার শুরু করেছে রাজ্য সরকার। বাড়ির আশেপাশে জল জমতে না দেওয়া, কীটনাশক ছড়ানো, আবর্জনা মুক্ত রাখা, মশারী টাঙিয়ে ঘুমানো, রুমের মধ্যে মশানাশক ব্যবহার, গা ঢাকা পোশাক পরা, জ্বর হলে ডেঙ্গু পরীক্ষা ও চিকিৎসা কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য সচেতনমূলক প্রচার জোরদার চালানো হচ্ছে। মৃত্যুর খবরের পরেই ডেঙ্গু প্রতিরোধে আবার কড়া হওয়ার নির্দশন দেখা গেল রাজ্য সরকারকে।
দেশ বিদেশের বিভিন্ন খবরের পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য সবার আগে জানতে লাইক ও ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ ও গুগল নিউজ