নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- সোমবার বিকেলে দুর্গাপুরের পলাশডিহা গ্রাম সংলগ্ন সবুজ পল্লীতে (কুষ্ঠ পাড়ায়) স্থানীয় পাড়ার ছেলেমেয়েদের নিয়ে রবীন্দ্র জন্ম জয়ন্তী উদযাপন করল আনন্দলোক দুর্গাপুর নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন । সংগঠনটি করোনা অতিমারীর সময়কালে ওই এলাকার ছেলেমেয়েদের জন্য একটি মুক্ত পাঠশালার মাধ্যমে লেখাপড়ার ব্যবস্থা করে যা তারা এখনও সচল রেখেছে ।
এলাকার আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবারের ছেলে মেয়েদের জন্য বই খাতা সহায়িকা সহ পড়াশুনোর সামগ্রিক দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছে তারা । পাশাপাশি ছাত্র ছাত্রীদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির বিকাশে সচেষ্ট আনন্দলোক দুর্গাপুর । পড়াশুনোর পাশাপাশি নিয়মিত চলে নাচ , সেলাই ও কবিতার ক্লাস । দুর্গাপুর ও সংলগ্ন এলাকার কলেজ ইউনিভার্সিটির পড়ুয়া এবং প্রাক্তনীরা ক্লাস নেন বাচ্চাদের । ছাত্র ছাত্রীদের উদ্যোগে ও পরিশ্রমে তৈরি বাঁশের ছাউনির নিকোনো উঠোনে চলে কৃষ্টি ও সংস্কৃতির মেলবন্ধনের প্রয়াস ।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পল্লী সমাজ উন্নয়নের ভাবনাকে পাথেয় করে ওই এলাকার ছেলে মেয়েদের সামগ্রিক বিকাশে ব্রতী হয়েছে আনন্দলোক দুর্গাপুর । পঁচিশে বৈশাখের পড়ন্ত বিকেলে তাদের পাঠশালার এই নতুন প্রাণদের নিয়ে আনন্দ উৎসবে মেতেছিল আনন্দলোক । তাদের এই উৎসবে উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের পৌরপিতা শ্রী মানস রায় , এছাড়া উপস্থিত ছিলেন এনআইটি দুর্গাপুরের অধ্যাপক পীযূষ তোপদার সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ।
কোভিড অতিমারীর সময় ঘর বন্দী মানুষের জন্য বিভিন্ন অনলাইন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল আনন্দলোক দুর্গাপুর সোমবারের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেই সকল প্রতিযোগিতার বিজেতারাও । তাদের হাতে উপহার স্বরুপ গাছ ও শংসাপত্র তুলে দেয় ওই প্রতিষ্ঠান । রবীন্দ্র জয়ন্তীর বিকেলে আনন্দলোকের এই অনুষ্ঠানে প্রকৃতির কোলে চলে প্রকৃতির বন্দনা ।