বরুণ মুখার্জিঃ প্যাচপ্যাচে গরম আর মাঝেমধ্যে বৃষ্টি । ১ দিনের ছুটিতে ইচ্ছে থাকলেও আবহাওয়ার কারণে অনেকেই ঘোরার প্ল্যান বাতিল করে দেন। ঘুরতে ভালবাসলে মন আবহাওয়ার কারণে মন খারাপ করে বাড়িতে বসে থাকলে হবে না। ব্যাগ গোছান, আর বেরিয়ে পরুন।
আরও পড়ুনঃ
- কোচি শিপইয়ার্ড লিমিটেডে বিভিন্ন পদে কর্মী নিয়োগ
- ৫ টি কোম্পানি তে বিভিন্ন পদে নিয়োগ
- সাব ইনস্পেক্টর পোস্টের পরীক্ষা ১৭ জুলাই
- রেল এ গ্রুপ ডি পোস্টে ১ কোটি পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ আগস্ট
- ভারতীয় রেলের ICF এ বিভিন্ন ট্রেডে অ্যাপ্রেন্টিস নিয়োগ
আজ এমনই একটি জায়গার সন্ধান দেওয়া হবে আপনাকে, আপনি না গিয়ে থাকতে পারবেন না। প্যাচপ্যাচে গরম আর মাঝেমধ্যে বৃষ্টি যেখানকার পরিবেশকে আরও মোহময়ী করে তুলেছে। চলুন তাহলে যাওয়া যাক সেই জায়গায়।
জায়গার নাম দেউল পার্ক। পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে অজয় নদী। পার্কের পাশেই রয়েছে গড় জঙ্গল। শাল, সেগুন, মহুয়া-সহ অসংখ্য চেনা-অচেনা গাছে ঢাকা বিস্তৃত এই জঙ্গল ভ্রমণপিপাসুদের কাছে করে তুলেছে আকর্ষণীয়। শহরের কোলাহল থেকে দূরে জঙ্গলে ঘেরা এই জায়গাটি বেশ মনোরম। বিশেষত বর্ষায় এখানকার দৃশ্যই পালটে যায়।
বর্ষার জঙ্গলের নির্জনতা, সাথে বন্য গন্ধ আর জঙ্গলের ভিতর লাল মোরামের আঁকাবাঁকা রাস্তায় যাওয়ার অভিজ্ঞতাই আলাদা। বড়ো জলাশয় এর পাশেই রয়েছে জঙ্গলে ঘেরা আদিবাসী সম্প্রদায়ের গ্রাম। চাইলে তাদের সহজ সরল জীবনযাত্রাকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাবেন। এখানে রয়েছে একটি ঐতিহাসিক শিব মন্দির বা দেউল। শোনা যায় অবিভক্ত বাংলায় রাজা ইছাই ঘোষ এই দেবালয় বা দেউলটি তৈরি করিয়েছিলেন। ফলে এই স্থানের একটি ঐতিহাসিক গুরুত্বও আছে।
সকালে গিয়ে রাতে ফেরা বা রাত কাটিয়ে তার পরের দিন ফেরার জন্য বেশ ভালো।
কীভাবে আসবেন?
পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর থেকে ২ নং জাতীয় সড়ক ধরে মলানদিঘি হয়ে গড় জঙ্গলে আসা যাবে সহজেই। বা, বর্ধমান থেকে পানাগড়-মোরগ্রাম জাতীয় সড়ক পথে দেউল পার্কে পৌঁছনো যাবে।
কোথায় থাকবেন?
দেউল পার্কে রয়েছে থাকা ও খাওয়ার সুবন্দোবস্ত। এছাড়া দুর্গাপুরে রয়েছে প্রচুর হোটেল ও রিসর্ট। আপনার বাজেট ও পছন্দ অনুযায়ী বেছে নিন কোনও একটি হোটেল। আর উপভোগ করুন বর্ষার বন্য প্রকৃতি।