সন্তু সামন্তঃ আর মাত্র ২ মাস। তারপরই চালু হয়ে যাবে বিশ্বের প্রথম মেটাভার্স হাসপাতাল (Metaverse Hospital)। সৌজন্যে আরব (Arab) দুনিয়ার হেলথ কেয়ার কোম্পানি থাম্বে গ্রুপ (Thumbay Group)।
আরও পরুনঃ কয়েক হাজার শূন্যপদে সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মী নিয়োগ
বিশ্বের যে কোনও প্রান্ত থেকে ভার্চুয়াল ডাক্তারি পরিষেবা পাওয়া যাবে এবার বাড়িতে বসেই। টেলিমেডিসিন পরিষেবা বা ভিডিও কলিং ডাক্তারি পরিষেবা তো এখন উপলব্ধ, তাহলে মেটাভার্স হাসপাতাল নিয়ে কেনই বা সারাবিশ্ব জুড়ে এত হইচই ?
সহজভাবে বুঝতে গেলে প্রথমে জেনে নিতে হবে কি এই মেটাভার্স। গুগল ম্যাপ দেখে আপনি যেই জায়গায় কখনো যাননি সেই জায়গার হালহকিকত জেনে নিতে পারেন। কিন্তু সেই জায়গায় থাকার অনুভুতি কি হয় ? এককথায় হয় না। এই অসম্ভব কেই সম্ভব করবে মেটাভার্স। অর্থাৎ, আপনি বাড়িতে বসেই কোনও জায়গায় থাকার অনুভূতিও পেয়ে যাবেন। সবটাই সম্ভব প্রযুক্তির উন্নতির জন্য।
আরও পরুনঃ চলন্ত ট্রেনের সামনে পা পিছলে পড়ে গেল যাত্রী, তারপর ? দেখুন ভিডিও
কি হতে চলেছে এই মেটাভার্স হাসপাতালে? রোগীরা ডাক্তারের ভার্চুয়াল অবতারের কাছ থেকে চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন। বাড়িতে থেকেই আপনি হাসপাতালের অনুভূতি পাবেন। মনে হবে আপনি হাসপাতালে রয়েছেন, আর ডাক্তারবাবু আপনাকে ডাক্তারি পরিষেবা দিচ্ছেন। এক্ষেত্রে সবথেকে বেশি উপকৃত হবে ক্রনিক রোগীরা – যারা ইচ্ছে করলেও বিশ্বের সেরা ডাক্তারের থেকে ডাক্তারি পরামর্শ নিতে পারেন না বা সরাসরি ডাক্তারের কাছে যেতে পারেন না শারীরিক কারণে।
আরও পরুনঃ কলকাতা হাইকোর্টের ড্রাইভিং পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশ
ধরা যাক কোনও প্যরালাইসিস রুগী, যার মাথা কাজ করলেও শরীর কাজ করছে না। তিনি এই প্রযুক্তিতে ডাক্তারের পরিষেবা পাবেন তাও হাসপাতালের অনুভূতি নিয়েই। অর্থাৎ মেটাভার্সে ভার্চুয়াল রিয়েলিটিকে ব্যবহার করা হবে। উন্নত প্রযুক্তির হেডসেট, দ্রুত গতির ইন্টারনেট এর সাহায্যে সমস্ত কথাবার্তা মনে হবে বাস্তবে সামনাসামনি ঘটছে।
তবে তৃতীয় বিশ্বের (ThirdWorldCountry) দেশে যেখানে ৪ জি (4G) পরিষেবাই অতটাও গুণমান সম্পন্ন নয় সেখানে দ্রুতগতির ইন্টারনেট প্রযুক্তির মেটাভার্সের সাফল্য কতটা সহজলভ্য হবে সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।