সঞ্জয় বৈরাগীঃ ভারতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের দ্বারা কোনো একক ভাষা প্রচলন এর বিরোধিতায় বরাবরই সরব হয়েছে দক্ষিণের রাজ্যগুলি। আর এই রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম হলো, কেরালা।
সম্প্রতি, ভারতে নতুন করে ভাষা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। আর এই বিতর্কের সূত্রপাত হয় চলতি বছরের ৭ই এপ্রিল। ওই দিন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদের আনুষ্ঠানিক ভাষা কমিটির বৈঠকে বলেন, নবম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের হিন্দি ভাষা শেখাতে হবে। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিষয়টির ওপরে অত্যন্ত জোর দিচ্ছেন যেন সরকারের কাজকর্ম পুরোপুরিভাবে হিন্দি ভাষায় করা যায়।
আর এই ঘটনার কিছুদিন পরেই সরকারি ভাষা সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি সুপারিশ করে যাতে, রাষ্ট্রসংঘে ভারতের সরকারি ভাষা হিন্দি হয়,পাশাপাশি সমস্ত কেন্দ্রীয় সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাদানের ভাষাও যেন হিন্দি করা হয়, এছাড়া সমস্ত সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বাধ্যতামূলক ভাবে ইংরেজি তুলে দিয়ে যাতে হিন্দিকে নিয়ে আসা হয়।
কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী (Pinarayi Vijayan) মাননীয় প্রধান মন্ত্রীকে একটি চিঠি লিখেছেন, যাতে কেন্দ্রীয় সংসদ কমিটির এই সুপারিশ গুলিকে কোনোমতেই গ্রহণ করা না হয়। পাশাপাশি এই চিঠির মাধ্যমে তিনি এই সুপারিশ গুলির বিরুদ্ধে নিজের তথা রাজ্যর অবস্থান সম্পর্কেও প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
উল্লেখ্য, কেরালার পর পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা ও তামিলনাড়ু সহ একাধিক রাজ্যের তরফ থেকেও এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রকে তীব্র আপত্তি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও এই বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়ে উঠেছেন।
দেশ বিদেশের বিভিন্ন খবরের পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য সবার আগে জানতে লাইক ও ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ ও গুগল নিউজ