বরুণ মুখোপাধ্যায়: ২৫ বৈশাখ শান্তিনিকেতনে মহা সমারোহে পালিত হল গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী। বিশ্বভারতী তার নিজস্ব রীতিতে সারা দিন ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন করল এই বিশেষ দিনটিকে। ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক, কর্মী, অধ্যাপক, আশ্রমিক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কয়েকশো সাধারণ দর্শনার্থী। উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
প্রথা মেনে ভোর ৫টায় গৌরপ্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয় বৈতালিক। এরপর সকাল ৬টায় রবীন্দ্রভবনে হয় কবিকন্ঠ। সকলের উপস্থিতিতে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে উপাসনা গৃহে(কাচ মন্দির) গান, বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণ ও পাঠের মাধ্যমে কবিকে স্মরণ করা হয়। পরিবেশিত হয় সমবেত সংগীত— ‘যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে’। তাঁর রচিত কবিতা থেকে ওড়িয়া, অসমিয়া, চিনা, ফরাসি, জার্মানি, ইতালি, রাসিয়ান প্রভৃতি ভাষায় অনুবাদ করা কবিতা পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিতির সংখ্যা ছিল বেশ চোখে পড়ার মতো।
প্রসঙ্গত, করোনা অতিমারির কারণে বিগত দু’বছর এই অনুষ্ঠান বিশ্বভারতী আয়োজন করলেও তা ছিল নিতান্তই অনাড়ম্বরপূর্ণ। সেখানে প্রবেশাধিকারেও ছিল নিয়ন্ত্রণ, কিন্তু এ বছর করোনা পরিস্থতি কমে আসায় বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল হতেই চেনা ছন্দে ফিরতে শুরু করে বিশ্বভারতী। তাই তাদের ছাত্রছাত্রী, কর্মী, অধ্যাপক ছাড়াও সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্যও অনুষ্ঠান দেখার ছাড়পত্র দেয় বিশ্বভারতী।