চন্দ্রিমা দাসঃ আট থেকে আশি সবার মধ্যেই ডাইনোসরদের জগৎ নিয়ে একটা আলাদা রকমের ফ্যান্টান্সি আছে। ডাইনোসরদের জগৎ নিয়ে তৈরি প্রথম সিনেমা ‘জুরাসিক পার্ক’ রিলিজ হয়েছিল ১৯৯৩ সালে। তারপর প্রায় ২৮ বছর কেটে গেছে। সারা বিশ্বেই ডাইনোসরদের জগৎ নিয়ে তৈরি সিনেমার উন্মাদনায় যে এখনও ভাটা পড়েনি তা প্রমাণ করল ‘ জুরাসিক ওয়ার্ল্ড ডমিনিয়ন ‘ এর বক্স অফিস।
চলতি বছরের শুরু থেকেই ‘ জুরাসিক ওয়ার্ল্ড ডমিনিয়ন ‘ সিনেমাটির মুক্তির দিনের অপেক্ষায় ছিল গোটা বিশ্ব। সিনেমার গ্রাফিক্স, সাউন্ড, সিনেমাটোগ্রাফি বেশ নজরকাড়া।
দেখুন ট্রেলার –
বেশ কিছু অ্যাকশন সিন এ গ্রাফিক্স এর কাজ যেমন বেশ ভালো হয়েছে তেমনি অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের অভিনয়ও বেশ প্রশংসনীয়। তবে প্রথম হাফে গল্পে যতটা উত্তেজনা ছিল দ্বিতীয় হাফে সেটা কোথাও গিয়ে হারিয়ে গিয়েছিল।
গল্পের মূল প্রেক্ষাপট হল- নিও – জুরাসিক যুগ। যেখানে মানুষ ও ডাইনোসর একইসাথে এক পৃথিবীতে সহাবস্থান করছে। এরফলে একদিকে জনজীবনে যেমন বিপন্নতা দেখা দেয়, তেমনই অপরদিকে ডাইনোসরের কালো বাজারি হয়, এমনকি কিছু প্রজনন সংস্থা বেআইনিভাবে পূর্বে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া এই প্রাণীগুলোর উপর বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষাও করতে থাকে। এমনি একটি বায়ো জেনেটিকস সংস্থা ‘ বায়োসিন জেনেটিক্স ‘ তারা সরকারের নির্দেশে ডাইনোসরদের সংরক্ষণের দায়িত্ব গ্রহণ করে।
আরও পড়ুনঃ
- সরকারি হাসপাতালে কর্মী নিয়োগ
- একনজরে একাধিক সংস্থার চাকরির খবর
- সরকারি দপ্তরে কয়েক হাজার শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ
- চাকরি খুঁজছেন? এখনই আবেদন করুন
- বি এস এফ -এ কনস্টেবল ও সাব ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগ
কিন্তু হঠাৎ করে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া ক্রিস্টেসিয়াস যুগের দৈত্যাকার পঙ্গপালের আবির্ভাব ঘটে। যারা বায়োসিন সংস্থার বীজ ছাড়া অন্য সব বীজের ফসল খেয়ে নেয়। এই ঘটনা সমগ্র পৃথিবীকে খাদ্য সংকটের মধ্যে ফেলতে পারে ভেবে প্যালেওবোটানিস্ট এলি আসেন এই রহস্যের সমাধান করতে।
স্টিভেন স্পিলবার্গ এর জুরাসিক পার্ক এর এলি, অ্যালান ও ম্যালকম এর সাথে পুনর্মিলন ঘটে জুরাসিক ওয়ার্ল্ড এর ওয়েন ও ক্লেয়ারের। কিন্তু কিভাবে মেসি ও বেটাকে উদ্ধার করবে তারা এবং দৈত্যাকার পঙ্গপালের থেকে পৃথিবীকে আদৌ বাঁচাতে পারবে কি না সেটা জানতেই দেখতে হবে ট্রিলজির এই উপসংহার।
তবে গল্পের পরিপ্রেক্ষিত , সিনেমার ভালো লাগা, খারাপ লাগা- দর্শকদের মধ্যে থাকবেই। কিন্তু এই গল্পের মধ্য দিয়ে একটি ছোট্ট মেসেজ দিয়েছেন পরিচালক – এই পৃথিবী সবার, মিলেমিশে থাকাটাই সবার পক্ষে শ্রেয়।