স্নিগ্ধা হালদারঃ আর মাত্র দু’দিন। তারপর ই পালিত হবে বিশ্বকর্মা পুজো। প্রথা অনুযায়ী ইঞ্জিনিয়ারিং এর পুরোধা হলেন স্বয়ং বিশ্বকর্মা। তবে মানব সভ্যতায় ইঙ্গিনিয়ারের জনকের জন্মদিন আজ।
কারিগরী ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রের ভগবান মানা হয় এম. বিশ্বেশ্বরায়কে। তাই ১৫ই সেপ্টেম্বর তার জন্মদিনেই দেশজুড়ে পালিত হয় ইঞ্জিনিয়ার্স ডে।
১৮৬০ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর কর্ণাটকের এক প্রত্যন্ত গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পুনে কলেজ অফ ইঞ্জনিয়ারিং কলেজ থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর কর্ণাটকের কারিগরী ও প্রযুক্তি শিল্পে তিনি বিরাট পরিবর্তন এনেছিলেন। এছাড়া জলসেচ ও বন্যা দুর্যোগের ব্যবস্থাপনাতেও তার অবদান অনস্বীকার্য।
১৯১৭ সালে তিনি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। এককথায় তিনি নতুন ভারত নির্মাণ করেছিলেন। তার এই অবদানের জন্য ১৯৫৫ সালে তাকে ভারতরত্নে ভূষিত করা হয় এবং ১৯৬৮ সালে ভারত সরকার তার জন্মদিনকে ইঞ্জিনিয়ার্স ডে হিসেবে ঘোষিত করে। এই দিনটিতে শুধু ভারত নয় শ্রীলঙ্কা ও তানজানিয়াতেও ইঞ্জিনিয়ার্স ডে হিসেবে পালিত হয়।
আজ এই বিশেষ দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইঞ্জিনিয়ারদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, আমাদের পৃথিবীকে তথা দেশকে প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে উন্নত করে তোলার জন্য ধন্যবাদ দেওয়ার কোনো ভাষা তার কাছে নেই।