তিয়াশা ভক্তাঃ আবারও ভোর রাতেই ভুমিকম্পের থাবা। ভুমিকম্পের উৎস স্থল নেপাল হলেও আঁচ পড়েছে উত্তর ভারতের বেশ কিছু অঞ্চলে । প্রায় সাত বছর আগের ভয়ঙ্কর স্মৃতি উস্কে দিয়েছে জনমানসে। তবে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হলেও রাত ১ টা বেজে ৫৭ মিনিটে প্রথম কম্পনের অনুভূতি ভয় ধরানোর জন্য যথেষ্ট। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৬.৩।
সরকারি সূত্র বলছে, ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিমি গভীরেই এর কেন্দ্রস্থল। নেপাল ও উত্তরাখণ্ডের সীমান্ত সংলগ্ন শহরেই এর প্রভাব পড়ে সব চেয়ে বেশি। জানা গেছে মঙ্গলবার রাত থেকেই বেশ কয়েকবার কেঁপে উঠেছে শহর । যেখানে একটির মাত্রা ছিল ৪.৯ ও অন্যটির ৩.৫ এবং শেষবারের মত ভোর ৩ টে ১৫ মিনিট নাগাদ আবারও কেঁপে ওঠে শহর যার মাত্রা ছিল ৩.৬।
স্থানীয় সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, ২টো নাগাদ যে ভূমিকম্প হয়েছিল তার জেরে দোতি জেলার একটি বাড়ি ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। ওই রাতেই মোট মৃতের সংখ্যা ৬ যার মধ্যে রয়েছে একজন মহিলা ও দুটি শিশু তবে তাদের পরিচয় মেলেনি এখনও। সাথে আহত হয়েছে আরও ৫ জন। জেলা আধিকারিক কল্পনা শ্রেষ্ঠা জানিয়েছেন আহতদের সত্বর নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে নেমেছে ধস এমনকি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বেশ কয়েকটা বাড়ি, অফিস। ইতিমধ্যে এলাকায় উদ্ধারের কাজে নেমেছে সেনাবাহিনী।
ভারতের উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগরে কম্পন অনুভূত হয় সকাল ৬ টা বেজে ২৭ মিনিটে। যার মাত্রা ছিল ৪.৩। এর উৎসস্থল ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার গভীরে। কম্পন অনুভূত হয় দিল্লি, নয়ডা, গুরুগ্রাম সংলগ্ন এলাকাতেও। তবে ক্ষতিগ্রস্থের খবর বিশেষ কিছু পাওয়া যায়নি।