সুদীপ ঘোষ: দিল্লিতে বাংলার আদিবাসী অভিনেত্রী ডগর টুডুর জয়জয়কার। অভিনেত্রীর সাঁওতালি ছবি “আশা” পেল ১২তম দাদা সাহেব ফালকে চলচ্চিত্র উৎসবের বিশেষ সম্মান। বলিউড অভিনেতা ফারহান আক্তার ও দক্ষিণী অভিনেতা মনিকন্দনের সাথেই ডগর টুডুর হাতে তুলে দেওয়া হয় সেরা অভিনেত্রীর সম্মান।
এবছর দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ১২ তম দাদাসাহেব ফালকে ফিল্ম ফেস্টিভেলে প্রদর্শিত হয় এই সিনেমা। উত্তরবঙ্গের রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণ প্রযোজিত ও পল্লব রায় পরিচালিত আদিবাসী ভাষার এই সিনেমা আগেই প্রশংসিত হয়েছিল।
এই সিনেমার মুখ্যচরিত্রে বিশেষ ভাবে সক্ষম এক তরুণীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ডগর। পূর্ণ দৈর্ঘ্যের এই প্রান্তিক ভাষার সিনেমা তৈরি হয়েছে বিশেষ ভাবে সক্ষম তরুণীর জীবন কাহিনী নিয়ে। শারীরিক অক্ষমতা ও সামাজিক লাঞ্ছনার বিরুদ্ধে লড়াই করে নিজের স্বপ্নকে সাত রঙ দিয়ে ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলার গল্প নিয়েই তৈরি হয়েছে এই ছবি। দিল্লির পর ২৭ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও প্রদর্শিত হয় এই সিনেমা।
আদিবাসী কন্যার জাতীয় স্তরে এই সম্মান প্রাপ্তির পরই আদিবাসী সমাজে খুশির হাওয়া বইতে শুরু করেছে। তাদের কাছে ডগর টুডুর এই জয় যেন তাদের সংস্কৃতির নতুন স্বীকৃতি। বঙ্গতনয়া ডগর টুডুর মতে, “আদিবাসী সমাজের সমস্ত স্তরে শিক্ষার সঠিক প্রসার ঘটলে ও সুযোগ পেলে তাদের ঘরের ছেলেমেয়েরাও প্রতিভাকে তুলে ধরতে সফল হবে।”
ডগর টুডুর এই সফল্য আদিবাসী সমাজের কাছে একটা নতুন দৃষ্টান্ত। তার এই সাফল্য প্রকাশ্য আসতেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে। অনেকেই হিন্দি সহ মূল ভাষার ছবির সাথে প্রান্তিক ভাষার সিনেমার আরও উন্নতি ও সুযোগের পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন।