সুদীপ ঘোষ: সাধারণত আমরা আমলা- আধিকারিকদের অফিসেই বসেই জনসেবা করতে দেখি। কিন্তু এবার সম্পূর্ণ বিপরীত দৃশ্যের সাক্ষী নেট দুনিয়া, খোঁজ মিলল একজন একটু আলাদা মানুষের। তিনি ২০০৩ সালের ব্যাচের আই. এ. এস অফিসার কির্থি জাল্লি। যিনি শাড়ি পরেই বন্যা কবলিত মানুষের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে যাচ্ছেন জল- কাদা পার করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল তার সেই কাজের ছবি ও ভিডিও।
আরও পড়ুন –
- কলকাতা পুলিশে মাধ্যমিক যোগ্যতায় কনস্টেবল নিয়োগ
- এবার সবার জন্য কাজের খোঁজ
- বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সে কর্মী নিয়োগ
- এবার বাড়িতেই কোর্স করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট
- একাধিক কোম্পানিতে কর্মী নিয়োগ, এখনই আবেদন করুন
আসামের চাচার জেলার ডেপুটি কমিশনার কির্থি জাল্লি। বিগত কয়েকদিনের টানা ব্যাপক বৃষ্টিতে আসামের বিস্তীর্ণ অঞ্চল এখন জলে ভাসছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ বন্যা কবলিত। সেই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রায় প্রতিদিনই গ্রাউন্ড জিরোতে পৌঁছে যাচ্ছেন আই. এ. এস কির্থি। কখনও তিনি এক হাতে শাড়ির কুঁচি ধরে অন্য হাত গ্রামবাসীদের কাঁধে রেখে অভাবের কথা শুনতে পৌঁছে যাচ্ছেন মানুষের দুয়ারে। আবার কখনও তিনি হাঁটু জল পার করে দুর্গত মানুষের হাতে তুলে দিচ্ছেন পানীয় জল ও শুকনো খাবার। একদিকে তিনি গ্রামবাসীদের নৌকায় চেপে মেডিকেল ক্যাম্প নিয়ে যাচ্ছেন বন্যা কবলিত অঞ্চলে। আবার অন্যদিকে তিনি জুতো খুলে হাতে নিয়েই সহকর্মীদের সাথে পৌঁছে যাচ্ছেন বন্যা পীড়িত মানুষের সরকারি ত্রাণ শিবিরে।
হাজার হাজার অসহায় মানুষের কাছে তিনি এখন দেবদূত। সরকারি গাড়ি চেপে কিংবা পায়ে হেঁটে, ডিঙি নৌকায় কিংবা স্পিড বোটে তিনি যেন পীড়িত মানুষের ঘরের মেয়ে। একবার বাচ্চাদের জলের কাছে যেতে নিষেধ করেছেন তো অন্যবার নিজেই কাদা জলে পা ধুচ্ছেন। তার এই সততা, নিষ্ঠা, নিরলস ও মাটির সাথে থেকে কাজের জন্য তিনি এখন নেট দুনিয়ায় জনপ্রিয়। নেটিজেনদের কাছে তিনি যেন আদর্শ আমলা বা আধিকারিকের উদাহরন।