সুদীপ ঘোষঃ মার্কিন মুলুকের মালোকাই চ্যানেল জয় করে বাড়ি ফিরলেন বাংলার জলকন্যা সায়নী দাস। রাজ্যে ফিরতেই তাকে ঘিরে উচ্ছ্বাসে উন্মাদনায় মেতেছেন ক্রীড়াপ্রেমীরা । বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন, রাজ্য সাঁতার সংস্থা ও কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ সংবর্ধনা প্রদান করা হয় সায়নীকে ।
গত ২৯ শে এপ্রিল এশিয়ার প্রথম মহিলা হিসাবে তিনি মার্কিন মুলুকের হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের মালোকাই চ্যানেল জয় করেন। এই জয়ের পর বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে গত সপ্তাহের মঙ্গলবার দিল্লি হয়ে কলকাতায় ফেরেন সায়নী। তারপর কলকাতা থেকে বর্ধমানের কালনার বাড়ীতে ফিরতেই তাকে নিয়ে উৎসবে মাতেন তার পাড়া পড়শিরা।
দেশবাসীর কাছে এখন গর্ব বাংলার এই সাঁতারু কন্যা।বাবা রাধেশ্যাম দাসের কাছেই সাঁতারে হাতে খড়ি সায়নীর। অভাব অনটনকে সঙ্গে নিয়েই কালনার সুইমিংপুল, পুকুর, ভাগীরথী নদী থেকে পুরীর সমুদ্রে অনুশীলন করেই সাফল্যের চাবিকাঠি পেয়েছেন বাংলার কোনি। এর আগে ২০১৭ সালে ইংলিশ চ্যানেল, ২০১৮সালে রটনেস্ট চ্যানেল ও ২০১৯ সালে ক্যাটালীনা চ্যানেল জয় করে বিশ্বে নজির সৃষ্টি করেন তিনি। কোভিডের কারণে কিছু দিন বন্ধ ছিল তার সিন্ধুজয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই মালোকাই চ্যানেলে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। সুদীর্ঘ এই চ্যানেল জয় করতে তার সময় লাগে প্রায় ১৯ ঘণ্টা। এই চ্যানেল জয়ের বিশ্ব রেকর্ড করার পরই জাতীয় পতাকা জড়িয়ে ছবি পোস্ট করেন সায়নী। এবার তার লক্ষ্য নিউজিল্যান্ডের কুক স্ট্রিট চ্যানেল জয়।
ঘরের মেয়ের বিশ্বজয়ের পরই কালনা জুড়ে বইতে শুরু করেছে খুশির হাওয়া। বঙ্গতনয়ার এই সাফল্যের পরই সোশ্যাল মিডিয়াতে দেশবাসীর অভিনন্দন ও শুভেচ্ছার ঝড় ওঠে। বাড়ি ফিরতেই নতুন করে শুরু হয় বিজয় উৎসব। একাধিক এন. জি. ও-এর পক্ষ থেকে আর্থিক ভাবে পুরস্কৃত করা হয় তাকে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠন তাকে একের পর এক সংবর্ধনা প্রদান করেছে। বিভিন্ন সংগঠনের সংবর্ধনা পেয়ে অভিভূত সায়নী । এই সম্মান আগামী দিনে তার সিন্ধুজয়কে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে বলেই জানিয়েছেন তিনি ।