সুদীপ ঘোষঃ Weather Update, জুলাই মাস শেষ হতে চলল, তবু বৃষ্টির দেখা নেই দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টির ঘাটতি, জঙ্গলমহলের বাঁকুড়া জেলাতে। বৃষ্টির অভাবে থমকে গেছে ধান রোপণের কাজ। খরার আশঙ্কা দিন কাটছে লাল মাটির দেশ বাঁকুড়ার (BankuraDrought) চাষীদের। কোন কোন জায়গায় কূপের মাধ্যমে ধান রোপণের কাজ হলেও সেই সদ্য লাগানো ধান জমি শুকিয়ে ফুটি ফাটা হয়ে গেছে।
ভারী শিল্পহীন বাঁকুড়ায় বিরাট সংখ্যক মানুষ কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল। আর জঙ্গল অঞ্চলের মানুষ সরাসরি কৃষি মজুরির সঙ্গে যুক্ত। ধান চাষে ক্ষতি হলে ব্যাপক প্রভাব পড়বে গ্রামীণ অর্থনীতিতে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের মতে, দেশের অন্য রাজ্যে বন্যা দেখা দিলেও রাজ্যে বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গে এখনই প্রায় ৫০% বর্ষার বৃষ্টির ঘাটতি আছে।
আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা বাড়বে কিন্তু ভারী বর্ষণের সম্ভবনা এখনও নেই। আর ভারী বর্ষণ ছাড়া এই ঘাটতি মেটার আশা নেই। এই মরশুমে বাঁকুড়া জেলার জুড়ে মাত্র ৯০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এই কারণেই বাঁকুড়া জেলার খরার সিঁদুরে মেঘ দেখছে গরীব চাষী ভাইয়েরা। চাষীবন্ধুদের দাবি, এই পরিস্থিতিতে সরকারি সাহায্যে বিনামূল্যে বিদ্যুতের পরিষেবায় দ্বারা কূপের মাধ্যমে জল সেচের ব্যবস্থা করা এবং ডিভিসি ও কংসাবতী ব্যারেজ থেকে সেচের জল সরবরাহ করা।
গতবছর অতিবৃষ্টির (OverRain) কারণে ধান ও আলু চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয় বাঁকুড়া সহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে। আর এবার অনাবৃষ্টির কারণে আবার ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে দক্ষিণবঙ্গের কৃষকরা। বিভিন্ন কৃষক সংগঠন গুলি কৃষকদের স্বার্থে সরকারের তরফে খরা ঘোষণা, সরকারি ক্ষতি পূরণ ও কৃষকদের ঋণ মুকুবের দাবি তুলেছেন।