দেবমাল্য ভট্টাচার্যঃ- দীর্ঘ আড়াই বছর অতিমারীর কারণে স্কুল বন্ধ থাকার পর আবার পূর্বের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এরইমধ্যে রাজ্যের সমস্ত সরকারি ,সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে পড়ুয়াদের পোশাকের রং পরিবর্তন হতে চলেছে। স্কুলের পোশাকেও এবার থাকবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় নীল সাদা রং সাথে বিশ্ব বাংলার লোগো।
সর্বশিক্ষা মিশনের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় জানা যায় প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র ছাত্রীদের পোশাকের রং পরিবর্তন হতে চলেছে ।
ছেলেদের ক্ষেত্রে জামার রং হবে সাদা ও প্যান্টের রং হবে নীল ও মেয়েদের ক্ষেত্রে সাদা রঙের সার্ট, স্কার্ট বা প্যান্টের রং নীল।
রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্ররা একটি হাফ ও একটি ফুলপ্যান্ট পাবে সাথে একটি হাফ শার্ট ও একটি ফুল শার্ট পাবে এবং ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্ররা একটি হাফ একটি ফুল শার্ট এবং দুটি করে ফুলপ্যান্ট পাবে, প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রীরা দুটি শার্ট একটি স্কার্ট ও একটি টিউনিক পাবে।
সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় চাইলে টাই ও দেওয়া হবে ছাত্রীদের । ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীরা দুজোড়া সালোয়ার কামিজ ও ওড়না পাবে। উভয় ক্ষেত্রেই লোগোসহ ব্যাচ আসবে দপ্তর থেকে ।
প্রসঙ্গত এর আগে স্কুলগুলি তাদের পছন্দমত কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা সংস্থাকে পোশাকের তৈরির বরাত দিতো, সেই পোশাকের গুণমান নিয়ে বহু ক্ষেত্রে প্রশ্ন ওঠে।
এই বৈষম্য দূর করার জন্য সরকারের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ দপ্তর (MSME) এবার পোশাক তৈরি করবে পোশাক তৈরির কাপড় কিনবে রাজ্যের অধীনস্থ সংস্থা তন্তুজ। তারপর সেই কাপড় তন্তুজ র মাধ্যমে স্বনির্ভর গোষ্ঠী গুলির কাছে পৌঁছাবে ,মূলত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমেই এই সব পোশাক স্কুলে স্কুলে পৌঁছে দেবে রাজ্য সরকার। নবান্নের তরফে এমনই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে শিক্ষা দফতরে।
রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের চরম বিরোধিতা করেছেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তিনি বলেন, “রাজ্যে শতাব্দীপ্রাচীন বিভিন্ন স্কুলের নিজস্ব ইউনিফর্ম রয়েছে। সেই কারও ফ্যাসিস্ট ভাবনা প্রতিষ্ঠার জন্য সেই ইউনিফর্ম বদলে দেওয়া হলে স্থানীয় ঐতিহ্যকে অপমান করা হয়।“