ওয়েব ডেস্কঃ পরিসংখ্যান বলছে সারা বিশ্বজুড়ে নিত্যদিন ধর্ষণের খবর শিরোনামে থাকেই। তার উপর ধর্ষণের প্রমানে ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ হল মরার উপর খাঁড়ার ঘা। তবে মন্দের ভালো এই অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি টি নিষিদ্ধ করল সুপ্রিম কোর্ট। ইতিমধ্যে কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে এই রায়ের প্রতিলিপি দেশের সমস্ত হাসপাতালে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, মেডিক্যাল কলেজের পাঠ্যক্রমেও যাতে এই বিষয় টি (Two Finger Test) আর না থাকে তার ব্যাবস্থাও খুব শীঘ্রই নেওয়া হবে।
গতকাল একটি মামলার শুনানিতে এই ঐতিহাসিক রায় দেন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও হিমা কোহলির বেঞ্চ। আদালতের দাবি কোনও নারীর সক্রিয় যৌন জীবন আছে মানেই তার ধর্ষিতা হওয়ার ঘটনা অতটাও গুরুত্বপুর্ন নয় এ ভ্রান্ত ধারনা পুরুষতান্ত্রিক মনভাবকেই তুলে ধরে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে কোনও শারীরিক অত্যাচার হয়েছে কিনা তার সঠিক প্রমানই পাওয়া যায় না। তাই বেঞ্চের দাবী কেউ যদি এর পরেও এই পদ্ধতি অবলম্বন করেন তাঁর উপর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য প্রায় ১০ বছর আগেই এই পরীক্ষা কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১২ সালে নির্ভয়া কাণ্ডের পর যৌন অপরাধ বিষয়ক আইন জন্য গঠিত হয় বর্মা কমিটি। এই বর্মা কমিটির রিপোর্টে প্রথম টু ফিঙ্গার টেস্ট বাতিলের কথা ওঠে। পরবর্তি তে ২০১৩ সালে ক্রিমিনাল লজ আমেন্ডনেন্ট আইনের মাধ্যমে পরীক্ষা টি নিষিদ্ধ করা হয়। তা সত্ত্বেও দেশের বিভিন্ন অংশে এই টেস্ট চলছে। তাই এবার শুধু খাতা কলমে নয়, দেশের কোথাও যেন এই ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
কী এই টু ফিঙ্গার টেস্ট? । Two Finger Test
এই পরীক্ষার মাধ্যমে নির্যাতিতার যোনীপথে/ (গোপনাঙ্গে) চিকিৎসক দুটি আঙ্গুল প্রবেশ করিয়ে মাংসপেশীর শিথিলতা পরীক্ষা করতেন। হাইমেন অক্ষত কিনা তাও দেখা হত কিছু ক্ষেত্রে। এক সময় ধর্ষণের নির্নায়ক হিসাবে এই পরীক্ষা টিকেই গুরুত্ব দেওয়া হত। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে টেস্ট টি সম্পুর্ন ভিত্তি হীন এবং অবমাননাকর।