সুদীপ ঘোষ: বিয়ে হয় সাধারনত একজন নারী এবং একজন পুরুষের মধ্যে। কিন্তু এবার নিজেই নিজেকে বিয়ে করতে চলেছেন এক তরুণী। না এ কোন সিনেমা বা গল্পের কথা না! বাস্তবে এমনটা হতে চলেছে খাস ভারতেই।
বিয়ে হবে, সানাই বাজবে, পুরোহিত মন্ত্রপাঠ করবেন, খাওয়াদাওয়া হবে, এমনকি হ্যানিমুনও হবে কিন্তু বর থাকবে না। হ্যাঁ, এমনই আশ্চর্য ঘটনা ঘটাতে চলেছেন গুজরাটের ভাদোদরার তরুণী।
আরও পড়ুন –
- একসাথে ৫ টি সংস্থায় কাজের খবর
- জেলা আদালতে কর্মী নিয়োগ
- যোগ্যতা থাকলেই চাকরির সুযোগ
- আই ডি বি আই ব্যাঙ্কে ১৫৪৪ জন কর্মী নিয়োগ
- রামকৃষ্ণ মিশনে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী পদে নিয়োগ
এই ২৪ বছরের তরুণী রীতিনীতি মেনে ও ঢাক-ঢোল বাজিয়ে দেশের প্রথম সোলোগ্যামি বা স্ব-বিবাহ করতে চলেছেন। সংবাদমাধ্যমে নিজেই এই ব্যতিক্রমী বিয়ের কথা স্বীকার করেছেন ক্ষমা বিন্দু নামের এই তরুণী। আর সেই নিয়েই চর্চা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে।
জানা গেছে, ঐ তরুণী জানিয়েছেন আগামী ১১ই জুন সমস্ত রীতি নীতি মেনে ভাদদারার গোত্রীয় এক মন্দিরে বসতে চলেছে তার বিয়ের আসর। বিয়ের সব নিয়ানকানুন মানা হবে ঐ দিন। সাত পাকের নিয়ম, অগ্নি সাক্ষীর নিয়ম এবং এমনকি বিয়ে সেরেই গোয়াতে হানিমুনে যাবেন কনে ক্ষমা বিন্দু।
সংবাদমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, এতো দিন তার বিয়ের কোন ইচ্ছেই ছিল না কিন্তু তিনি নিজে সাজতে ভালোবাসেন। তাই বধূ সাজার ইচ্ছে ছিল বহুদিনের। সেই নিজেকে ভালোবাসা থেকে নিজেকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, মানুষ যাকে ভালোবাসে তাকেই তো বিয়ে করে। তিনি নিজেকে ভালোবাসেন বলেই কোন পাত্রকে নয়, নিজেকেই বিয়ে করতে চলেছেন। তার এই নতুন সিদ্ধান্তে তার পাশে দাঁড়িয়েছেন তার পরিবার ও আত্মীয়স্বজন।
তার এই সিদ্ধান্ত নিয়েই দেশ জুড়ে চলছে বিতর্ক। ধর্মীয় বিতর্কও শুরু হয়েছে। অনেকেই এই বিয়েকে হিন্দু বিবাহরীতি বিরুদ্ধ বলে তীব্র সমালোচনা করেছেন। আবার,সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন জন ভিন্ন ভাবে মত প্রকাশ করছেন। কেউ বলছেন, তার সিদ্ধান্ত সদর্থক ও স্বাধীনচেতার পরিচয় । এই সিদ্ধান্তে মহিলাদের কাছে নারীত্বের গুরুত্ব আরও বাড়বে। কেউ আবার বলছেন, এই সিদ্ধান্ত নিছকই প্রচারের আলোয় আসার জন্য। তবে তার এই সিদ্ধান্তে ভারতীয় বিবাহ সংক্রান্ত দলিলে বিদেশের মতো সলোগ্যামির ধারণা স্থান পেতে চলেছে।