সৌমি ঘোষ: দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে পা, তাই বলে কি থেমে যাবে লেখাপড়া? ইচ্ছাশক্তি ও অদম্য জেদের ওপর ভর করে, ব্যাগ কাঁধে গ্রামের মেঠো পথ ধরে একপায়ে লাফিয়েই স্কুলে যাচ্ছেন বালিকা। সম্প্রতি এই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
দুই বছর আগে ট্রাক্টরের ধাক্কায় ছোট্ট সীমা হারিয়েছে একটি পা। বিহারের জামুই জেলায় অভাবী পরিবারের কন্যা সে। বাবা পরিযায়ী শ্রমিক আর মা ইঁট ভাঁটার কর্মী। দশ বছরের সীমা পড়াশোনাকে অস্ত্র করে শিক্ষিকা হওয়ার স্বপ্ন দেখে। বিদ্যালয়ের যাওয়ার এক কিলোমিটার রাস্তা সে একপায়ে লাফিয়েই পার করে। বিশেষ ভাবে সক্ষম ছোট্ট সীমার দিন যাপনের লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছে হাজার হাজার মানুষ।খবর পেয়ে, তার সঙ্গে দেখা করেন জেলাশাসক অবনীশ কুমার সিং। তার চলার পথকে একটু মসৃণ করতে, তিনি একটি ট্রাই সাইকেল দেন সীমাকে।
এমনকি আর্টিফিশিয়াল পায়ের কথা তারা ভাবনা চিন্তা করছেন, বলে জানান। তাঁর ভিডিও চোখ ভিজিয়েছে দক্ষিণী অভিনেতা সোনু সুদেরও। তিনি আবেগঘন টুইট করে জানিয়েছেন, “এখন থেকে একপায়ে লাফিয়ে স্কুলে যেতে হবে না ওকে। টিকিট পাঠাচ্ছি। দু পায়েই স্কুল যাওয়ার সময় এসে গিয়েছে।” দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সীমাকে, তিনি টুইটে লেখেন, ” সমস্ত যোদ্ধাদের কাছে সীমা অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। ১০ বছরের মেয়ের লড়াই আমাকে আবেগতাড়িত করেছে। দেশের প্রতিটি বাচ্চার সুশিক্ষার প্রয়োজন। আমি রাজনীতি বুঝতে চাই না। প্রত্যেক সরকারে ক্ষমতা রয়েছে ভালো শিক্ষা দেওয়ার।দেশে সীমার মতো ছেলেমেয়েদের সকলকে পড়াশোনার সুযোগ দিতে পারলে, সেটাই হবে প্রকৃত দেশপ্রেম।” সীমার স্বপ্নের উড়ান যেন থেমে না যায় তার জন্য প্রার্থনা করছেন সকল দেশবাসী।