সন্তু সামন্তঃ ইচ্ছে আর পরিশ্রমের দাম সবসময়ই পাওয়া যায়। বয়স সেখানে একটা সংখ্যা মাত্র। পারিবারিক কারনে অনেকেরই ইচ্ছে থাকলেও পড়াশুনো করা হয়ে ওঠে না। এমনকি সাংসারিক দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে অনেক মহিলারই চাকরি করার স্বপ্ন অধরা থেকে যায়। তবে মনের জেদ আর সামান্যতম সুযোগের অপেক্ষা – এই দুইয়ের মেলবন্ধনে সরকারি চাকরি পেলেন ৪২ বছর (42 years) বয়সী বিন্দু।
স্বাভাবিকভাবেই খবরের শিরোনামে বিন্দু। তবে তাঁর এই সাফল্যের গল্প সংবাদ শিরোনামে আসার আরও একটি কারণ রয়েছে। তা হল – কেরলিয়ান মা ছেলে দুজনের একসঙ্গে সরকারি চাকরি পাওয়া।
বিন্দুর ছেলে বিবেক যখন উচ্চমাধ্যমিক স্তরে পড়াশুনো করে তখন ছেলের অনুপ্রেরনাতেই আবার পড়াশুনো শুরু করেন তিনি। তারপর পি এস সি (PSC) র পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হওয়া। এক্ষেত্রে মা ছেলে একসঙ্গে একটি কোচিং সেন্টারের তত্ত্বাবধানে চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেন। দুজনে একসঙ্গে চাকরি পাবেন এটা তাঁরা কেউই আশা করেননি।
পড়াশুনো শুরু করা এবং চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হওয়ার পেছনে তাঁর বাবার অবদান অনেকটাই, সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক ইন্টারভিউতে এমনটাই জানিয়েছেন বিবেক। বিবেক পিএস সি’র এলডিসি পরীক্ষায় পাশ করেছেন ৩৮ তম র্যাঙ্ক নিয়ে। অপরদিকে মা ‘বিন্দু’ পি এস সি’র এল ডি এস পাশ করেছেন ৯২ তম র্যাঙ্ক নিয়ে।
বিন্দু সাফল্যের রথ এখানেই থামাতে চান না। আই সি ডি এস সুপারভাইজার হওয়া যে তাঁর লক্ষ্য। তাই একজন অঙ্গনওয়াড়ি শিক্ষিকা হিসেবে দায়িত্ব সামলানোর পর যে সময়টুকু পাওয়া যায় তাকেই কাজে লাগাচ্ছেন।
বিন্দু এখন অনেকের কাছেই অনুপ্রেরনা। তিনি তাঁর লক্ষ্যে সফলভাবে উপনীত হোক, আগাম অভিনন্দন টিম ‘নবচেতন’ এর পক্ষ থেকে।
দেশ বিদেশের বিভিন্ন খবরের পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য সবার আগে জানতে লাইক ও ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ ও গুগল নিউজ